বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপাস সিভি তৈরির Step-by-Step guidelines
🔹 ইউরোপাস সিভি কী?
ইউরোপাস সিভি (Europass Curriculum Vitae) ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দ্বারা স্বীকৃত একটি স্ট্যান্ডার্ড সিভি ফরম্যাট, যা ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন, স্কলারশিপ অথবা চাকরির জন্য ব্যাপকভাবে গৃহীত। এটি প্রার্থীকে তার শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা, স্কিল, ভাষা দক্ষতা ইত্যাদি গুছিয়ে উপস্থাপন করতে সাহায্য করে।
________________________________________
🔹 ইউরোপাস সিভি’র লিখার আগে
আপনার সিভি যেন শুধু আপনাকেই রিপ্রেজেন্ট করে। নিজের গল্পই লিখুন নিজের সিভিতে। সিভি লিখার আগে নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করুনঃ
• What’s my purpose for this CV?
• Who’s my audience for this CV?
• What should be my focus on this CV and how can I make it best?
🔹 ইউরোপাস সিভি’তে অবশ্যই কি কি লিখতে হবে
• Contact Information (Personal Details)
• Research Objective or Personal Profile (Europass)
• Education
• Professional Appointments
• Research Experience
• Publications
• Conferences
• Teaching Experience
• Awards and Honors
• Grants and Fellowships
• Additional Activities
• Languages and Skills
• References ইত্যাদি
🔹 ইউরোপাস সিভি লিখার Step-by-Step Guideline
____________________________
১. Personal Information (ব্যক্তিগত তথ্য)
• Full name: নিজের পুরো নাম (হেডার হিসেবে শুধুমাত্র Curriculum Vitae বা “CV” না লিখে Curriculum Vitae of XXXX লিখুন)
• Address: যথাযথ পোস্টাল এড্রেস লিখুন (অপ্রয়োজনীয় লিখা পরিহার করুন)
• Email: প্রফেশনাল ইমেইল ব্যবহার করুন (যেমন: ✅[email protected] ✅ [email protected]);
আন-প্রফেশনাল সব কিছু পরিহার করুন, যেমন – ইমেইল আইডি
❌ [email protected],
❌ [email protected]
• Telephone/Mobile: একটি অ্যাকটিভ ফোন নম্বর, (ইন্টারন্যাশনাল কোডসহ)
• জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, লিঙ্গ (লিখতেই হবে এমন বাধ্যতামূলক নয়)
👉 ইমেইল এবং ফোন নম্বর সঠিকভাবে দিন। এগুলো স্কলারশিপ বা প্রোগ্রাম থেকে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
________________________________________
২. 🎯 আবেদনের উদ্দেশ্য (Job/Studies Applied For)
যা লিখবেন:
• Erasmus Mundus Master/Marie Curie PhD অথবা অন্যান্য ফান্ডিং প্রোগ্রামের নাম
• টার্গেটেড গবেষণা ক্ষেত্র
উদাহরণ:
✅Application for: Erasmus Mundus Joint Master in Cultural Heritage Science
✅Research interest: Laser-based cleaning techniques in heritage conservation
৩. Education and Qualifications (শিক্ষাগত যোগ্যতা)
• সর্বশেষ ডিগ্রি আগে লিখবেন (রিভার্স ক্রোনোলজিক্যাল অর্ডারে)
• প্রতিষ্ঠান, সময়কাল, ডিগ্রি ও CGPA উল্লেখ করুন
• গুরুত্বপূর্ণ কোর্স বা থিসিস/প্রজেক্টের নাম উল্লেখ করুন
• যেই বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি দিয়েছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখুন
উদাহরণ:
2020 – 2022
M.Sc. in Materials Science
European Master in ARCHMAT (Archaeological Materials Science)
University of Evora (Portugal), Aristotle University (Greece), Sapienza University (Italy)
• GPA: 3.85/4.00
• Thesis: “Advanced Spectroscopy of Ancient Ceramics”
• Relevant Courses: Analytical Techniques, Heritage Science
👉 Start with the most recent; don’t forget your current study
👉 Primary or High school information is not needed if you apply for master’s program
________________________________________
৪. Research Experience (গবেষণা অভিজ্ঞতা)
• থিসিস, ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্ট, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ, ল্যাবরেটরি কাজ
• আপনি কী করেছেন তা ব্যাখ্যা করুন: ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, যন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি
👉 পিএইচডি বা রিসার্চ বেইজড মাস্টার্সের জন্য এ অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
________________________________________
৫. Publications (প্রকাশনা)
• জার্নাল এবং কনফারেন্স পেপার আলাদা করে লিখুন
• জার্নাল নাম, DOI, পাব্লিকেশন লিংক অবশ্যই লিখুন
• প্রকাশিত না হলেও উল্লেখ করতে পারেন (উদাহরণ: submitted, in process, accepted)
উদাহরণ:
1. Rahman, M.A., et al. (2023). Spectroscopic Characterization of Roman Glassware. Journal of Archaeological Science, Vol. 78, pp. 145–153. DOI XXX
2. Rahman, M.A., et al. (2022). Raman Analysis of Ancient Pottery. Presented at the International Conference on Heritage Science, Lisbon, Portugal. DOI XXX
________________________________________
৬. Work Experience (কর্মজীবন অভিজ্ঞতা)
• তারিখ, প্রতিষ্ঠান, পদবী, স্থান
• কাজের বিবরণ দিন — কেবল দায়িত্ব না, বরং স্কিল কীভাবে অর্জন করেছেন তা পয়েন্ট আকারে কম কথায় লিখুন
উদাহরণ:
June 2021 – Aug 2021
Research Intern, Institute of Nanoscience, Zaragoza, Spain
– Conducted SEM and FTIR analysis
– Worked in a multidisciplinary team on ancient pigment preservation
________________________________________
৭. Skills (দক্ষতা)
• Technical skills: সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং, ইন্সট্রুমেন্টেশন
উদাহরণ:
– Laser Instruments: fs/n-IR, UV, Visible Green Lasers
– Instruments: SEM-EDS, XRD, XRF, Raman, FTIR, OM
– Software: MATLAB, LabVIEW, Arduino, KaleidaGraph, CasaXPS
– Programming: C++, Python, JavaScript
• Organizational skills: প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, টিমওয়ার্ক
• Social skills: কমিউনিকেশন, লিডারশিপ
• Special skills: ভাষা, লেখালেখি, উপস্থাপনা
________________________________________
৮. Language Skills (ভাষাগত দক্ষতা)
• মাতৃভাষা এবং অন্যান্য ভাষার দক্ষতা (CEFR স্কেলে যদি সম্ভব হয়)
Bangla – Native
English – Proficient (IELTS Overall: 7.5
Language Listening Reading Speaking Writing
English C1 C1 C1 C1
Italian A2 A2 A2 A1
👉 GRE, IELTS, TOEFL (break it down in sections)
________________________________________
৯. Honours and Awards (পুরস্কার ও সম্মাননা)
• যে কোনো স্কলারশিপ, প্রতিযোগিতা, একাডেমিক পুরস্কার উল্লেখ করুন
– Erasmus Mundus Scholarship (Fully funded, European Commission)
– EXIM Bank Merit Scholarship (Bangladesh, 2009–2015)
– Dean’s Award for Academic Excellence, University of Chittagong
________________________________________
১০. সামাজিক ও নেতৃত্বের দক্ষতা (Social & Leadership Skills)
Extracurricular Activities (অতিরিক্ত কার্যক্রম)
• ক্লাব, সোসাইটি, স্বেচ্ছাসেবা, ক্যাম্পাস ইনভলভমেন্ট
– Founder Member, Youth Research Society
– Organizer, UniV International Research Competitions
– Volunteer, COVID-19 Awareness Campaign, Dhaka
________________________________________
১১. References (সুপারিশকারক)
• যাঁরা আপনাকে মিনিমাম এক বছরে ধরে জানেন, তাঁদেরকেই রেফারেন্সে রাখুন
• দুইজন যথেষ্ট (দুইজনেই একাডেমিক হলে ভালো); তিন জনও হতে পারে যদি জব করেন (এই ক্ষেত্রে দুইজন একাডেমিক, একজন প্রফেশনাল ফিল্ড হতে)
• রেফারী হতে আগে থেকে অনুমতি নিয়ে দিন,
👉 যদি রেফারী’র তথ্য দিতে না চান, তবে References অপশনে লিখতে পারেন: “Available upon request”
________________________________________
📝 ইউরোপাস সিভি তৈরির চূড়ান্ত টিপস: প্রেজেন্টেশন ও ফরম্যাটিং
✅ সিভির উপস্থাপনা (Presentation of your CV)
• আপনার সিভির প্রথম ভিজ্যুয়াল ইমপ্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — এটি পাঠকের মনে প্রভাব ফেলতে পারে।
• মাস্টার্স আবেদনে সর্বোচ্চ ২-৩ পৃষ্ঠার মধ্যে আপনার সিভি সীমিত রাখার চেষ্টা করুন।
• বানান ও গ্রামার ভালোভাবে চেক করুন — ভুল থাকলে আপনার সম্পর্কে ইমপ্রেশন খারাপ হবে।
• পয়েন্ট আকারে লিখুন এবং মাঝেমধ্যে বোল্ড ফন্ট ব্যবহার করুন (তবে অতিরিক্ত নয়)।
✅ ইউরোপাস সিভি ফরম্যাটিং (Formatting Tips)
• পুরো সিভির ফরম্যাট যেন সঠিক ও একরূপ হয় (consistent formatting)।
• ফন্ট সাইজ ১০-১২ রাখুন, ফন্ট স্টাইল অনুযায়ী সামঞ্জস্য করুন।
• সহজে পড়া যায় এমন ফন্ট ব্যবহার করুন, যেমনঃ Arial, Calibri।
• CGPA বা রেজাল্ট লেখার সময় “3.50/4.00″ এভাবে লিখুন, ” 3.50 – 4.00″ বা “3.50, 4.00” নয়।
• ছোট ও সহজবোধ্য বাক্য বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখুন — পূর্ণ বাক্য / দীর্ঘ বাক্য এড়িয়ে চলুন।
________________________________________
🎯 ইউরোপাস সিভি – কয়েকটি বিষয়:
• তথ্য গুছিয়ে ও সংক্ষেপে দিন।
• চোখের আরামদায়ক ও প্রফেশনাল লেআউট ব্যবহার করুন।
• এক নজরে আপনার যোগ্যতা ফুটে উঠতে হবে।
• বানান ও ফরম্যাট ঠিক আছে কি না, সিভি সাবমিট করার আগে অবশ্যই দেখে নিন।
ভালো গ্রেড নেই, জব এক্সপেরিয়েন্স নেই, পাবলিকেশন নেই… — তাহলে ইউরোপাস সিভি’তে কি লিখব?
কমন একটি প্রশ্ন! অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যারা সদ্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স শেষ করেছেন, তারা মনে করেন যে সিভিতে যদি ভালো গ্রেড, জব এক্সপেরিয়েন্স, পাবলিকেশন, কো-কারিকুলার একটিভিজ কিংবা ভালো এওয়ার্ডস না থাকে, তবে তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করার সুযোগ কম। কিন্তু আসলে বিষয়টি তা নয়; বিদেশে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ/ ফান্ডিং পেতে হলে SMART হোন; কিভাবে নিজেকে সিভি’তে হাইলাইট করতে হবে এবং কোথায় কোথায় হাইলাইট করতে হবে তা শিখুন।
নিচের লিখাটি ইউরোপাস সিভি তৈরির সময় কিসে ফোকাস করবেন, সে বিষয়ে সাহায্য করবে।
________________________________________
১. আপনার মূল শক্তি: একাডেমিক রেজাল্ট ও কোর্সওয়ার্ক
যদি আপনার CGPA ভালো হয় বা আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কোর্সে ভালো করেছেন — তাহলে তা গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করুন।
যেমন:
– GPA: 3.70/4.00 (Top 5% in department)
– Key Courses: Research Methodology, Data Analysis, Instrumentation Lab
👉 আপনি যদি থিসিস বা প্রজেক্টে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে থাকেন, সেটিই আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি — Abstract টাইপ সামারি সিভি’তে লিখুন।
২. CGPA কম?
সমস্যা না! কী শিখেছেন, সেটাই দেখান।
• আপনার CGPA হয়তো গড়পড়তা, কিন্তু আপনি হয়তো কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে খুব ভালো ছিলেন। সেগুলো হাইলাইট করুন।
• থিসিস বা ফাইনাল প্রজেক্ট ভালোভাবে করেছেন? সেটাই হোক আপনার একাডেমিক শক্তি।
উদাহরণ:
– Though overall CGPA is 3.2 (/modest), performed strongly in lab-based and research courses, such as Instrumentation, Data Analysis, and Heritage Science.
– Thesis focused on low-cost environmental sensors, which reflects my research interest.
👉 থিসিস বা কোনো প্রজেক্টের কাজ যদি ভালো ভাবে করে থাকেন, সেটাই গ্রেডের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাই হাইলাইট করুন।
৩. জার্নালে কিছু ছাপেননি?
নো প্রবলেম! থিসিস/প্রজেক্টই হতে পারে আপনার রিসার্চ এক্সপোজার কিংবা রিসার্চ/পড়ালেখার প্রতি আপনার আগ্রহের প্রমাণ।
যদিও আপনি এখনও কোনো জার্নালে পাবলিকেশন করেননি, তবুও আপনার থিসিস বা ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্টের কাজটি গবেষণার শুরু হিসেবেই বিবেচিত হয়।
আপনার কী করা উচিত:
• থিসিসের সঠিক এবং সময়োপযোগী টাইটেল দিন; রিসার্চ ট্রেন্ড ফলো করে টাইটেল লিখুন
• কাজটি কী নিয়ে ছিল সংক্ষেপে লিখুন
• আপনি কী টুলস, সফটওয়্যার বা মেথড ব্যবহার করেছেন তা লিখুন
উদাহরণ:
Thesis: “Analysis of Water Contamination in Urban Areas using Arduino-based Sensors”
– Collected real-time data and analyzed using Excel and Python
– Presented findings at university seminar
Thesis: “Real-time air quality monitoring using Arduino”
– Used data logging, sensor calibration and basic data analysis using Excel and Python
________________________________________
৪. যারা জার্নাল/পাবলিকেশন করেননি, তারা কী করবেন?
ভয় পাওয়ার কিছু নেই! বিশ্বমানের অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রামে জার্নাল পাবলিকেশন বাধ্যতামূলক নয়। আপনি যদি গবেষণার আগ্রহ ও প্রস্তুতির প্রমাণ দেখাতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট।
যা করতে পারেন:
• নিজের থিসিস বা রিপোর্টকে গবেষণাপত্রে রূপান্তরের চেষ্টা করুন
• গুগল স্কলার বা ResearchGate থেকে রিলেভেন্ট পেপার পড়ে নিজের ফোকাস বাড়ান
• কোন কোন জার্নালে প্রকাশ করা যায়, তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করুন
• সেমিনারে অংশ নিন, ভার্চুয়াল কনফারেন্সেও অংশ নেওয়া শুরু করুন; সেগুলো সিভি’তে উল্লেখ করুন
________________________________________
৫. কোনো চাকরির অভিজ্ঞতা নেই?
ঠিক আছে! যা করবেন:
• কোনো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, ক্লাস প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্টে কাজ, বা ছোটখাটো দায়িত্বও লিখুন।
• যদি ইন্টার্নশিপ করে থাকেন, সে অভিজ্ঞতা দিন—even if unpaid.
উদাহরণ:
– Final year project team leader – Coordinated with 4 members for developing a low-cost environmental monitoring system.
– Team Lead – Final Year Project (Smart Irrigation System)
– Volunteered in university admission assistance team for two years.
👉 কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে, skills, responsibilities & initiatives-এ জোর দিন।
________________________________________
৬. অন্যান্য সেকশন গুলো শক্তিশালী করুন
যেমন:
• ডিজিটাল স্কিলস: Excel, PowerPoint, SPSS, MATLAB, Python — আপনি যা জানেন তা লিখুন
• ভাষাগত দক্ষতা: ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ (IELTS, TOEFL, GRE) থাকলে তা যুক্ত করুন
• সামাজিক দক্ষতা: আপনার টিমওয়ার্ক, দায়িত্ববোধ, এবং যোগাযোগ দক্ষতার প্রমাণ দিন
উদাহরণ:
– Proficient in Microsoft Excel for data handling
– Participated in the university debate competition
– Volunteered in the blood donation camp at the university
________________________________________
৭. ছোট অর্জন বা অবদানও লিখুন
অনেকেই মনে করেন বড় অ্যাওয়ার্ড না থাকলে কিছু লেখার নেই — আসলে যেকোনো দায়িত্ব, ইনিশিয়েটিভ বা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ সিভিতে লিখতে পারেন।
যেমন:
• ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালন
• কোনো প্রজেক্ট টিমে লিডারশিপ নিয়েছেন
________________________________________
প্রিয় শিক্ষার্থী, স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলো সবসময় “সেরা ছাত্র” খোঁজে না—তারা খোঁজে “প্রস্তুত শিক্ষার্থী যে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব সময় রেডি”।
ভালো গ্রেড নেই, জব এক্সপেরিয়েন্স নেই, পাবলিকেশন নেই… — তবে যদি আপনি নিজেকে তুলে ধরতে পারেন, আপনার যা আছে সেটাকেই হাইলাইট করতে পারেন, আপনার পরিকল্পনা দেখাতে পারেন, দেখাতে পারেন যে আপনাকে স্কলারশিপ/ ফান্ডিং দিলে আপনি পিছিয়ে থাকবেন না, তবেই আপনি স্কলারশিপ/ফান্ডিং পাবেন।
আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই আপনার সিভির অংশ। আজ আপনার যদি জার্নাল না-ও দিয়ে থাকে, কাল তা অবশ্যই পারবেন — যদি আপনি চেষ্টার পথ থেকে না সরে দাঁড়ান। একজন ভালো শিক্ষার্থী মানেই সবসময় পুরস্কারে ভরা সিভি নয়, বরং শেখার ইচ্ছা, গবেষণার আগ্রহ ও প্রমাণিত প্রস্তুতি — এগুলোই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কলারশিপ কমিটির কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। নিজের সিভি আর নিজের গল্পটা শুরু হোক আজ থেকেই 🎯
শুভ কামনা।
………………..
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ গাইডলাইন –
Dr-Ashiqur Rahman